কালিয়া পাহাড়ের হারানো ধন - নিউজ ব্লগ বিডি

Post Top Ad

soc

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪

কালিয়া পাহাড়ের হারানো ধন

**কালিয়া পাহাড়ের হারানো ধন**







এক সময়ের কথা, কালিয়া পাহাড়ের পাদদেশে একটি ছোট গ্রামে একটি জिज्ञাসু ছেলে ছিল, নাম অর্জুন। সে পাহাড়ে লুকানো ধনের গল্প শুনে মুগ্ধ হতো, যা প্রাচীন এক রাজা রেখে গিয়েছিল বলে বলা হতো। প্রতিদিন সন্ধ্যায়, সে আগুনের পাশে বসে গ্রামের বৃদ্ধদের কাছে সাহসী অভিযানকারীদের কাহিনী শুনতো, যারা ধন খুঁজতে গিয়েছিল কিন্তু কখনো ফিরে আসেনি।

একদিন, অর্জুন সিদ্ধান্ত নিল যে সে ধনটি খুঁজে বের করবে। একটি ম্যাপ নিয়ে বের হলো, যা সে গল্পগুলো থেকে এঁকেছিল। ভোরে সে বেরিয়ে পড়ল, কালিয়া পাহাড়ের রহস্য উন্মোচন করতে সংকল্পিত।

রুক্ষ পথ ধরে সে উঠতে শুরু করল, উত্তেজনা আর ভয়ের মিশ্র অনুভূতি নিয়ে। পাহাড়গুলো তাদের ঘন বন এবং খাঁজের জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু অর্জুন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। সে মনে করে, গল্পে বর্ণিত প্রাচীন গাছের কাছে যেতে হবে যেখানে এক জ্ঞানী বুড়ো পেঁচা বাস করে। বলা হত, সে ধনের প্রবেশদ্বার রক্ষা করে।

কিছু ঘণ্টা পর, অর্জুন অবশেষে সেই প্রাচীন গাছের কাছে পৌঁছাল। সে ডাক দিল, “জ্ঞানী পেঁচা, আমি কালিয়া পাহাড়ের ধন খুঁজছি!”

অর্জুনের বিস্ময়ের সাথে, পেঁচাটি উপস্থিত হলো, তার সোনালী চোখ সূর্যের আলোতে ঝিলমিল করছিল। “অনেকেই এই ধন খুঁজেছে, যুবক। কিন্তু পথটি সহজ নয়। তোমার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।”

“আমি কি করতে হবে?” অর্জুন উত্সাহী হয়ে জিজ্ঞেস করল।

“প্রথমত, তোমাকে পাহাড়ের ধাঁধাটি সমাধান করতে হবে,” পেঁচাটি উত্তর দিল। “তবে তখনই তুমি ধনের জন্য যোগ্য হবে।”

পেঁচাটি একটি ধাঁধা বলল: “আমার নদী আছে কিন্তু জল নেই, বন আছে কিন্তু গাছ নেই, পর্বত আছে কিন্তু পাথর নেই। আমি কি?”

অর্জুন গভীরভাবে চিন্তা করল। কিছুক্ষণ পরে, সে বলল, “একটি ম্যাপ!”

“সঠিক,” পেঁচাটি বলল। “এখন, পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। তোমাকে বন জুড়ে পথ খুঁজে বের করতে হবে, পথ হারানো ছাড়া।”

অর্জুন মাথা নেড়ে বলল, দৃঢ় সংকল্পে। সে সাবধানে তার পথ চিহ্নিত করল, গল্পে বর্ণিত চিহ্নগুলো মনে রেখে। বনটি শব্দে ভরপুর ছিল, আর অর্জুন প্রকৃতির সাথে একটি সংযোগ অনুভব করল যতদূর সে গভীরভাবে এগিয়ে গেল।

দীর্ঘ যাত্রার পর, সে একটি পরিষ্কার স্থানে পৌঁছাল যেখানে একটি গোপন গুহা ছিল। হৃদয় দৌড়াতে থাকলে, সে গুহায় প্রবেশ করল, তার টর্চের আলো দ্বারা গৃহীত। ভিতরে, সে দেয়ালে প্রাচীন লেখার খোঁজ পেল, যা রাজ্যটির ইতিহাস এবং ধন যা সেখানে ছিল তা বর্ণনা করছিল।

গুহার পিছনে, অর্জুন একটি ধূলিময় বাক্স খুঁজে পেল। কম্পিত হাতে, সে এটি খুলল, সোনা, রত্ন এবং একটি অতীত যুগের শিল্পকলা আবিষ্কার করল। কিন্তু ঐ ধনগুলির মাঝে, সে একটি পাণ্ডুলিপিও পেল।

পাণ্ডুলিপিটি উন্মোচন করে, অর্জুন পড়ল যে ধনের গুরুত্ব হলো শেয়ার করা এবং সম্প্রদায়ের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা। রাজা ধনটি লুকিয়েছিল শুধুমাত্র ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়, বরং গ্রামটি বিকাশমান রাখতে।

ধনের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝে, অর্জুন সিদ্ধান্ত নিল যে সে এটি গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। যখন সে ফিরে এল, গ্রামের লোকেরা হতবাক হয়ে গেল। অর্জুন ধন ভাগ করে দিল এবং তাদেরকে রাজার ঐক্য ও দানশীলতার বার্তা বলল।

সেদিন থেকে, কালিয়া পাহাড় শুধু ধনের জন্য নয়, বরং তার মানুষের মধ্যে যে সম্প্রদায়ের আত্মা বিকশিত হয়েছে তার জন্য পরিচিত হলো। অর্জুন শিখল যে সত্যিকারের ধন সোনা বা রত্নে নয়, বরং আমরা যে সম্পর্কগুলি ভাগ করে নিই এবং একে অপরের জন্য যে ভালো কাজ করি তাতেই নিহিত।

---




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad