সোনার পাখির খোঁজ
একদিন,
একটি ছোট্ট গ্রামে একটি দিনসেনাপতি সোনার পাখি খুজতে বের হয়। সোনার পাখি সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে রঙিন, এবং সবচেয়ে মোহনীয় গান গায়। তার গানের সুর এত মিষ্টি ছিল
যে, এটি পড়া, বড়গিড়ে, সাবান্তর গ্রাম সবার মনকে মোহনীয় করে ফেলত।
একদিন,
গ্রামের একটি কিশোর লোক, রজু নামে, সোনার পাখির গান শুনে বড় চমকে উঠে।
তিনি চাচ্ছেন, "এই সোনার পাখির
গান আমার বড়বই গান হয়ে যাবে!"
রজু
প্রতিদিন সোনার পাখির গান শুনতে গিয়ে সেই স্থানে থাকেন, যেখানে সোনার পাখি গান গায়। কিন্তু, এই বিষয়ে তিনি
সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে যায়। সোনার পাখির গান এত উৎকৃষ্ট ছিল
যে, রজু সেই গানের মত গায়তে পারতো না । রজু খুব চেষ্টা করেও সোনার পাখির মত গান গাইতে পারতো না।
রজু
দিনের বেলায় সোনার পাখির খোঁজে একটি দেশে যায়, যেখানে বলা হতো যে, "সেখানে একটি মাগিকল পুরী আছে, যেখানে একটি বড় রাজা রাজকুমারীকে
সোনার পাখির গান গাওয়া শুনাতেন।"
রজু
পুরীতে পৌঁছে গিয়ে দেখে, তখন একটি মোহনীয় রাজকুমারী সোনার পাখির গান শুনছেন। তিনি সোনার পাখি দেখে আশ্চর্য হয়ে উঠে এবং বলেন, "আপনি কি এই সোনার
পাখির মালিক?"
রজু
তপত্রিকের প্রদর্শনী করে সোনার পাখির মত পাখি দেখতে পায়। তারপর রাজকুমারী তাকে দেখিয়ে দেন একটি বক্স, যেখানে সোনার পাখি বসে আছে।
রাজকুমারী
বলে, "এই সোনার পাখির মালিক তুমি হতে পার, যদি তুমি আমার সাথে একটি কুঁড়ে ঘর খুজে বের করতে পার। তুমি একটি কুঁড়েঘর খুজে বের কর যেখানে এই সোনার পাখি বাসকরতে পারে।"
রজু আত্মবিশ্বাসে ভরা একটি কুঁড়েঘর খুজতে বের হয় , এবং সোনার পাখির গান শুনতে পায়।
তবে,
ব্যাপারটি মজার ছিল, যখন সোনার পাখি দেখে যে, রজুর গানে তার গানের সাথে মিল নেই। সোনার পাখি প্রতিদিন একই গান গাওয়া থেকে বিরক্ত হয়ে যায় ।
রাজকুমারী
প্রথমে হতাশ হয়, তারপর হাস্যরসে ভরা মুখে হাসতে লাগে। তারপর তিনি রজুকে একটি সোনা দিয়ে সাবান্তর গ্রাম ফেরত যেতে বলে।
রজু
গ্রামে ফেরত আসে এবং সবাইকে সোনার পাখির বাসা সম্পর্কে বলে দেয়। যেখানে সোনার পাখি প্রতিদিন মোহনীয় গান গাইতে থাকে। সোনার পাখি বলে, "আমি তাদের কাছে সবচেয়ে মোহনীয় গান গাই এবং যারা আমাকে ভালো বাসে আমার গান পছন্দ করে।"
গ্রামের
লোকরা রজুর কাছে যান, তাদের নকল সোনা দেখতে আসেন এবং হাসতে থাকেন
রজু
এবং সোনার পাখি ফিরে রাজকুমারীর কাছে ফিরে যায় এবং নকল সোনা রাজকুমারীকে ফেরৎ দিয়ে আসে।
সোনা পাখির সুন্দর গানে সাবান্তর গ্রামে আবেগ ছড়িয়ে দেয়, এবং সবাই খুশি খুশি মনে গান শুনতে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন